স্টাফ রিপোর্টারঃ
একুশে পদককে বাংলাদেশের বেসামরিক নাগরিকদের জন্য রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে দেওয়া দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সম্মাননা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ বছর ময়মনসিংহের দুই কৃতী সন্তান একুশে পদক লাভ করেছেন।
তারা হলেন- প্রয়াত ভাষাসৈনিক মোস্তফা এমএ মতিন এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক ধর্মমন্ত্রী আলহাজ অধ্যক্ষ মতিউর রহমান। এছাড়াও গেল বছর একুশে পদকে ভূষিত হয়েছেন ময়মনসিংহের আরেক নন্দিত ব্যক্তি প্রয়াত ভাষাসৈনিক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শামসুল হক।
ময়মনসিংহের এই তিন কীর্তিমান মানুষের গৌরবময় অর্জনকে বরণ করে নিতে এবারের মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ৫২ কিলোমিটার পদযাত্রা করেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা বিমল পাল।
সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৭টায় নগরীর পন্ডিতপাড়াস্থ ভাষাসৈনিক শামসুল হকের বাসভবন ও নাটকঘর লেনে অবস্থিত আলহাজ্ব অধ্যক্ষ মতিউর রহমানের বাসভবনে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে হাঁটা শুরু করেন বিমল পাল। বিকেল সাড়ে ৫টায় তিনি ভালুকা কলেজ মাঠে ভাষাসৈনিক মোস্তফা এম এ মতিনের সমাধিস্থলে গিয়ে পৌঁছান। পরে সমাধিস্থলে ও শহীদ মিনারে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান এই বীর মুক্তিযোদ্ধা।
এরপর উপজেলা পরিষদে আয়োজিত বইমেলায় গিয়ে শেষ হয় তার পদযাত্রা। এ সময় সেখানে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, স্থানীয় সংসদ সদস্য কাজিম উদ্দিন আহমেদ ধনু ও সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য মনিরা সুলতানা মনির হাতে জাতীয় পতাকা ও ফুল তুলে দেন বিমল পাল।
এ আয়োজনের সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান ফয়সাল বলেন, ১৯৫২ সালের ভাষা শহীদ ও একুশে পদকপ্রাপ্ত গুণীজনদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করতে বীর মুক্তিযোদ্ধা বিমল পাল ৫২ কিলোমিটার হেঁটে পদকপ্রাপ্তদের পরিবারের সদস্যদের হাতে জাতীয় পতাকা ও ফুল তুলে দিয়েছেন। এ যাত্রাপথে ভাষা আন্দোলনের গুরুত্ব ও ইতিহাস বর্ণনা করা হয়েছে পথের স্কুল ও মানুষজনের মধ্যে। এ যাত্রা ৫২ জনেরও বেশি স্বেচ্ছাসেবক বীর মুক্তিযোদ্ধার পাশে হেঁটেছেন। সর্বত্র বাংলা ভাষা বলবৎকরণ ও পদকপ্রাপ্তদের প্রতি সম্মান অক্ষুণ্ন থাকুক- এ পদযাত্রা শেষে এটাই আমাদের প্রত্যাশা।